মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও রাজশাহীতে কাটেনি শীতের তীব্রতা

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও রাজশাহীতে কাটেনি শীতের তীব্রতা

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও রাজশাহীতে কাটেনি শীতের তীব্রতা
মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও রাজশাহীতে কাটেনি শীতের তীব্রতা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও বরেন্দ্রখ্যাত এই অঞ্চলে কাটেনি শীতের তীব্রতা।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলেই মৃদু শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে গণ্য হয়।

কেবল ঘন কুয়াশা কারণে একেবারে জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চারপাশ। সকাল ৬টায় দৃষ্টিসীমা এলাকা ভেদে নেমে এসেছিল ৫০০ থেকে ৮০০ মিটারে। সকাল থেকেই রাস্তায় লাইট জ্বেলে যানবাহন চলাচল করছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে বাইছে উত্তরের হিমেল বাতাস। জরুরি প্রয়োজনছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না লোকজন।

রাজশাহী আবহাওয়া দফতরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম জানান, সকাল ৬টার দিকে রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই সময় ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা নেমে এসেছিল ৮০০ মিটারে। পরে আরো কিছুটা কমেছে। এলাকা ভেদে দৃষ্টিসীমা নেমেছে ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারে।

এদিকে ভোর থেকেই অঞ্চলজুড়ে বইছে বাতাস। সকাল ৬টার দিকে বাতাসের বেগ ছিল প্রতি ঘণ্টায় ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার। কুয়াশার আড়ালে ঢাকা পড়েছে সূর্য। সেই সঙ্গে বাতাস থাকায় শীতের তীব্রতা বেশি।

২০ ডিসেম্বর রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মাসেই ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমে তা শৈত্যপ্রবাহে রূপ নেবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী আবহাওয়া দফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগ বাড়ছে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের। রোজ ভোরে নগরীর রেলগেইট এলাকায় বসে শ্রমিকের হাট। কথা হয় দিনমজুরদের সঙ্গে। তারা জানান, শীতের কারণে কয়েকদিন ধরে কাজ নেই। অনেকেই অলস বসে থাকছেন।

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply